প্রবল নৈঃশব্দের নীরবতা
প্রচন্ড শব্দে উচ্চারিত উকন্ঠায়,
অবারিত আত্মার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ
সার্বভৌম মানচিত্রের অধিকারে।
লক্ষকোটি কণ্ঠের বজ্রের হুংকার
অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বদেশ, স্বাধিকার,
সবুজের মাঝে লাল সূর্যের জ্বলন্ত অধিকারে
লাখো শহীদের মিছিল, ভাষা নিরুচ্চার।
দিনের পর দিন,
নিষ্ঠুর বেদনারদুঃসহ যন্ত্রণার আড়ালে,
হৃদয়ের শূণ্যস্থানে ক্রমশ জমে ওঠা
প্রতিশোধের সুতীব্র স্পৃহা।
শোষণ অবসানের দৃপ্ত দাবিতে
ভোরের রঙিন আলোয়, শূণ্য রাজপথে
মৃত্যুর আলিঙ্গনে মিশে যায়, সংগ্রামী মিছিলে,
বাংলার স্নেহময়ী জননীর অসংখ্য সন্তান।
জননীর অশ্রুসিক্ত চোখের পাতায়
ভূতুড়ে আঁধার, ক্লান্ত শূণ্যতা;
পথে পথে ভেসে যায়,
তার অকৃত্রিম স্নেহের রক্তস্নাত প্রগাঢ়তা
অথচ তার ত্যাগী, সাহসী, সংগ্রামী সন্তান
মিছিলের অগ্রভাগে শত কথা যায় বলে;
বুলেটের উদ্যত অবিরাম বৃষ্টি স্পর্শে
তার শোণিতে সিক্ত মাতৃভূমির মাটি।
তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত মর্ত্যের অমানিশা,
তার রক্তস্নাত শরীরে বাংলার স্নেহের ছোঁয়া,
চোখের পাতায় শান্তির কাতর প্রতীক্ষা
আর হৃদয়ে লেখা একটি শব্দ, স্বাধীনতা।