বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আমার এক বন্ধুকে দেখলাম ডিপার্টমেন্টে ১ম, ২য় হতে না পারার ব্যর্থতায় সব শেষ ধরে নিয়ে “কী হবে এই জীবন রেখে” টাইপ উন্মাদ চিন্তা করছে তখন নিশ্চয় কেউ না কেউ দিনে তিন বেলা খেতে না পেয়েও আল্লাহর শোকর গুজার করছে। আখিরাতের অমৃতের আশায় এই দুনিয়ায় খেতে না পারার কষ্টকে তুচ্ছ জ্ঞান করছে।

আমার বন্ধুর মত অবস্থায় suicide করার বস্তা বস্তা উদাহরণ কিন্তু আছে। যারা 3 idiots মুভিটা দেখেছেন তাদের নিশ্চয় জয়ের suicide এর কথা মনে আছে। তার ঝুলন্ত পায়ের ফাঁক গলে ক্যামেরা যখন দেয়ালে “I quit” লেখাটা দেখালো সাথে শান্তনু মৈত্রের বুক হু হু করা background music! আহা! অনেকেই চোখের পানি মুছেছে! জীবনের একটু উনিশ বিশ সময়ে এই I quit লেখাটা ফেসবুক স্ট্যাটাস এর সাথে অনেককেই লিখতে দেখেছি।

আচ্ছা দুই মিনিট থমকে দাঁড়িয়ে চিন্তা করুন তো আমার মুসলিম ভাইয়েরা কী করছি এই দুনিয়ায়!! আমরা পড়াশোনা করছি, ভাল রেজাল্ট করছি, পরীক্ষার জন্য চোখের ঘুম হারাম করছি, ভাল স্ট্যাটাস, নাম, যশ, খ্যাতি, এমনকি বিয়ে করার সময়ও ভালোটা খুঁজি! (যদিও এটা ইসলামের ভাল নয়, সমাজের ভাল) কি তাইনা?? কিন্তু এগুলো কি খারাপ?? এগুলো কি অপরাধ?? ভাল কি খারাপ, অপরাধ কি নিষ্পাপ? তার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন why??? আমরা মুসলিমরা কি অবিশ্বাসী?? আমরা কি তাহলে আখিরাতের বিষয়ে অবগত নই?? যদি অবগত হই তাহলে কেন সেসব ভালগুলো খুঁজব যে ভালোর সাথে আখিরাতের কোন সম্পর্ক নেই??


এখন গভীর রাত। এইধরনের লেখা দেখে হলে কেউ “নিষিদ্ধ” কিছুর গন্ধ পাবে সেই ভয়ে গভীর রাতে reading room এ পড়ালেখার ভান করে লিখতে বসেছি। এত রাতেও অনেক ভাই ক্লান্তিহীন পড়ে যাচ্ছে। সামনে বিসিএস পরীক্ষা! কারো হয়তো সেমিস্টার ফাইনাল। আমার বন্ধুটা সুস্থ থাকলে এখন আমার পাশে সেও থাকতো। এরকম নিষিদ্ধ লেখা লিখতে এসে তাকে দেখিনি এরকমটা কখনো হয়নি। আমার বন্ধুর বিষয়টা ক্লিয়ার করি। তাকে এই লেখায় টেনে আনার কারণ হল সে এমন একজন যার কাছে আখিরাত কোন অর্থই বহন হরে না। একদিন সে ভোররাত পর্যন্ত রুমের ছেলেদের সাথে তর্ক করেছে যে ইসলাম দিয়ে আমাদের চলবে না। ইসলামের বিরুদ্ধে তার অনেক অভিযোগ। শুধু এই ছেলেটাই নয়, আখিরাত ভুলে দুনিয়ার একটু পাওয়ার পেছনে ছোটা আমাদের সবাইকে এই দুনিয়া vs আখিরাত যুদ্ধটা করতে হয়। একজন মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে তখন থেকেই সে একটা বাস্তবতা ভীষণভাবে ফেস করে সে অনেক বেশি নির্ভরশীল। মায়ের গর্ভ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সে নিজ থেকে আসলে কিছুই করতে পারেনা! বেঁচে করার জন্য তাকে কিছু না কিছুর উপর নির্ভর করতে হয়! কিছু আঁকড়ে ধরতে হয়। এই মানুষ একসময় হয়। বড় হয় তার মগজ। এই বড় মগজের গর্ব তার সীমাবদ্ধতা আর নির্ভরশীলতাকে ভুলিয়ে সেখানে তৈরি করে এক অহংকারি আর স্বার্থপর সত্তা। আর তখনি সে অস্বীকার করা শুরু করে। আর এই অস্বীকারের অবধারিত অংশটা থাকে আখিরাতকে অস্বীকার। যখন তার কাছে দুনিয়াই হয়ে যায় মূল। কারণ এখানে সবকিছু নগদ পাওয়া যায়। ভোগ-বিলাস, আনন্দ সবকিছু নগদ। একবার চিন্তা করে দেখুনতো ফজরের নামাজে মসজিদে টেনে টুনে এক কাতার মানুষ হয়না। কয়েকটা ঘর ছাড়া কোন ঘরেই আলো জ্বলেনা! কিন্তু…! কিন্তু যদি ভোর পাঁচটায় ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের ম্যাচ থাকে?? সমস্ত ঘরের লাইট ঠিকই জ্বলে উঠবে! ঠাণ্ডা পানিতে অজু করতে সমস্যা হলেও ঘুম চোখে খেলা দেখতে সমস্যা হবে বলে চোখে মুখে পানি দিয়ে ঠিকই ঘুম তাড়ানো হবে! কেন বলুনতো?? কারণ ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের ম্যাচের উত্তেজনা, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা সব নগদ নগদ পাওয়া যাবে! একেবারে টাটকা! আর ফজরের নামায পড়লে তার পুরস্কার আখিরাতে আল্লাহ্‌ কখন দেবেন… না মানে ইয়ে…!!! কালেমা বিশ্বাসী মুসলিমের কাছে যখন নগদ-বাকির হিসাব-ই মুখ্য হয়ে উঠে তখন সে trade off নামের একটা থিউরির আওতায় আসে! Economics এ trade off বলে একটা থিউরি আছে যার মানে হল একজন একই সাথে দুইটা জিনিস পছন্দ করে কিন্তু সে একই সাথে দুইটাই পেতে পারেনা! পছন্দের একটা জিনিস পেতে হলে তাকে পছন্দের আরেকটা জিনিস give up করতে হয়! আযান হয়েছে আর একজন খুব সিরিয়াস একটা মুভি দেখছে! সে নামাজ পড়তে যাবে নাকি মুভিটা continue করবে?? তাকে একটা ছাড়তেই হবে। ঠিক এভাবেই দুইটা বিষয় আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান! দুনিয়া এবং আখিরাত! দুইটার মজাই আমরা একই সাথে নিতে পারিনা! যেকোনো একটা আমাদের ছাড়তেই হবে! আমরা কেউই trade off এর বাইরে নই!


বড় মগজের গর্বে গর্বিত মানুষের অনেক বড় একটা হাতিয়ার হল আবেগ! সবাই নিশ্চয় সমুদ্র দেখেছেন! সমুদ্রের কাছে গিয়ে অসাধারণ অনুভূতি হয় তাইনা?? উত্তাল ঢেউ একটার পর একটা আছড়ে পড়ছে! কি অসাধারণ!! কিন্তু এই সুন্দর কেউ ধরতে চায়না! কারণ সবাই জানে এই সুন্দর ধরতে চাইলেই মৃত্যু! দুনিয়াটাও এমনি। এখানে আমাদের hearts গুলো এক একটা জাহাজ! এই জাহাজের দ্বারাই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাব! জাহাজের চারপাশে পানি থাকবে আর জাহাজ সেই পানি কেটে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে! কি হবে যদি সেই পানি জাহাজে ঢুকে পরে! আর তেমনিভাবে কি হবে যদি আমাদের heart এ প্রবেশ করে দুনিয়া? পানি ঢুকে জাহাজ ডুবে যাবে আর দুনিয়া ঢুকে আমাদের heart গুলো হয়ে যাবে slaves. Slaves to dhuniya!! যে দুনিয়া একসময়য় আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল সেই দুনিয়া তখন আমাদেরই নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করবে!

আমরা যে দুনিয়ায় বসবাস করছি তা আসলে তৈরি হয়েছে আমাদের ব্যবহারের জন্য! কিন্তু আমরা ভুলটা করি যখন এই দুনিয়ার জন্যই আমরা তৈরি তাই দুনিয়াই আমাদের সব এই চিন্তা শুরু করি! তাই বলে দুনিয়ার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ধরে নিয়ে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে একেবারে সন্ন্যাসী হয়ে যেতে হবে ব্যাপারটা তাও নয়! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি! তিনি দুনিয়াকে আখিরাতের পাথেয় হিসেবে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছিলেন! তার attachment ছিল শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ সুবহানুতায়ালার সাথে। কারণ মহান আল্লাহর কাছ থেকেই তিনি দুনিয়া আর আখিরাত কি জেনেছেন। আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে বলেন—–

“পার্থিব জীবন ক্রীড়া কৌতুক ছাড়া কিছু নয়, আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন- তারা যদি জানত!” [২৯ঃ৬৪]

তাই দুনিয়ার ক্রীড়া কৌতুক থেকে detached হয়ে পড়াই প্রকৃত detachment নয়। প্রকৃত detachment হল আমাদের hearts যখন আখিরাত থেকে detached হয়ে পরে! যখন আমাদের ভেতর ভর করে শুধুমাত্র দুনিয়া! হযরত আলি (রাঃ) এর একটা চমৎকার কথা আছে, “detachment is not that you should own nothing but nothing should own you.”

আর আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে দুনিয়াকে resource বলেছেন। duniya is a resource. it’s a tool. এটা আমাদের পথ, আমাদের গন্তব্য নয়! দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক বুঝাতে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “what relationship do I have with the world? I am in this world like a rider who halts in the shade of a tree for a short time and after taking some rest resumes his journey leaving the tree behind.

এটাই ইসলাম! ইসলাম এভাবেই সত্য মিথ্যার পার্থক্য গড়ে দেয়! একজন মুসলিম হিসেবে আমরা আমাদের গন্তব্য জানি, এই পৃথিবীতে আমদের কি করণীয় তাও জানি! তাই আমাদের যখন প্রশ্ন করা হয় তুমি কি করছ এই দুনিয়ায়? সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?? তখন আমরা মোটা মোটা বইয়ের ফাঁকে মাথা মোটা কাফেরদের থিউরি আর দর্শনে উত্তর খুঁজিনা! এই প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ্‌ নিজেই দিয়েছেন…

“আমি জিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র এই কারণেই যে, তারা আমারই ইবাদাত করবে।” [৫১:৫৬]

একজন বিশ্বাসী মুসলিম সে নিশ্চয় আখিরাতের ব্যবসা করবে, আখিরাতের জন্য বাঁচবে। কেন? কারণ তার আছে বিশ্বাস, আস্থা—মহান আল্লাহর প্রতি! তার প্রতিশ্রুতির প্রতি! আর মহান আল্লাহ্‌ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,

“আল্লাহ্‌ তা'য়ালা ঈমানদার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করেছেন এবং তার বিনিময়ে তাদের জন্য জান্নাত নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।” [৯:১১১]


একজন সত্যিকারের মুসলিম সে মদ পান করবে না, জেনা করবেনা, মানুষ হত্যা করবেনা এমনকি কারো কাছ থেকে একটা পয়সাও মেরে দেবে না, কারণ সে জানে এসবের মাধ্যমে সে হয়ত এই দুনিয়ায় একটু ভাল থাকবে কিন্তু তাকে আখিরাত হারাতে হবে। আর একজন মুসলিমের কাছে দুনিয়া নয় আখিরাতই মুখ্য! নিজের উপর অত্যাচারী শাসকের নির্যাতনের জবাবে ইবন তাইমিয়া যেমন বলেছিলেন—

“what can you do with me?
I am not limited to this dhuniya
I live for al–akhira”


আজকের পশ্চিমা কাফের মুশরিকদের দুনিয়ালোভী ভোগবাদী জীবনদর্শন তাদের জীবনটাকেই অর্থহীন করছে দিন দিন। চেতন বা অবচেতন মনে কিংবা চাপিয়ে দেওয়া সিস্টেমের মানসিকতার কারণে হোক আজকের মুসলিমরা পশ্চিমাদের এই খাও-দাও-ফুর্তি কর জীবনটাকেই বেছে নিচ্ছে আখিরাত ভুলে। এই হতভাগ্য মানুষগুলোর জন্যই হয়তো আলি (রাঃ) বলেছিলেন, “দুনিয়া হচ্ছে সাপের মত, ধরতে নরম কিন্তু এর কামড় খুব শক্ত।”

একজন ইসলাম বিশ্বাসী আর একজন অবিশ্বাসীর পার্থক্য এই জায়গায়—দুনিয়া আর আখিরাতে! সমাধানটাও এই জায়গায়! হিন্দুরাও কিন্তু স্বর্গ-নরক বিষয়গুলো বিশ্বাস করে তাইনা?? কিন্তু তারা ইসলামের তথা মহান আল্লাহর এই দুনিয়া/আখিরাতের সমাধানটা মেনে নিতে পারেনা! আর একটা সমাধানকে অস্বীকার করার জন্য আরেকটা সমাধানের প্রয়োজন হয়! সেই সমাধান হিসেবেই এসেছে পুনর্জন্ম থিউরি! মানুষ বারবার পৃথিবীতে জন্মায় এই থিউরি দিয়ে এই পৃথিবীতেই আটকে থাকার কি আপ্রাণ চেষ্টাই না মানুষ করে!! কিন্তু সত্য একটাই আর তাহলো আমরা এই দুনিয়াই চিরস্থায়ী নই। আমরা সবাই এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষা চলছে। মৃত্যু এসে ঠিকই পরীক্ষা শেষের ঘণ্টা বাজিয়ে যাবে। শেষ হবে আমাদের দুনিয়া আখিরাত বিষয়ক যুদ্ধ, সব প্রস্তুতি, সব ভবলীলা, সব দর্শন, সব কুযুক্তি, সব অবিশ্বাসের বুলি! পরীক্ষার খাতা কথা বলবে। পুনর্জন্ম হয়ে আবার পৃথিবীতে আসার সুযোগ আছে এই গাঁজাখুরি থিউরি ফচকিয়েও সত্যকে অস্বীকার করা যায়না! সত্যের সবচেয়ে বড় গুণ এটাই। আপনি যতকিছুই করুন না কেন সত্য সত্যের জায়গাতেই থাকবে। একজন পুরো দুনিয়া জয় করে ফেলেও হয়তো আখিরাতের কোন পুরস্কার পেল না, আরেকজন দুনিয়ার সম্পদ, নাম, যশ, খ্যাতি কিছুই না পেয়েও তার অন্তরে জমানো আখিরাতের মূলধন দিয়ে হয়তো ঠিকই আখিরাতের পুরস্কার ভাগিয়ে নেবে! আপনি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাবেন! আপনি যেভাবেই যান না কেন এসি রুমে, নরমাল চেয়ারে, দাঁড়িয়ে কিংবা ছাদে বসে at the end of the day একটা প্রশ্নই আসবে—আপনি চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন তো?? ট্রেন আমাদের বাহন। আমরা কেউ ট্রেনে চিরকাল থাকব না! তেমনি চিরকাল থাকবো না এই দুনিয়াতেও। তাই দুনিয়াই আমরা ভাল আছি না খারাপ আছি তার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমরা আমাদের সঠিক লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছি তো? ট্রেন চলে গেলে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবেনা তেমনি দুনিয়া ছেড়ে দিলেও আখিরাতে পৌঁছার, আখিরাতের পুরস্কার পাবার কোন মাধ্যম নেই! এটাই ইসলামের সমাধান, অন্যের সাথে ইসলামের এখানেই অনেক বেশি পার্থক্য!


শেষকথাঃ আমার নিজের কাছেই মনে হয়েছে লেখাটা যথেষ্ট অগোছালো! আসলে আমি পয়েন্ট বাই পয়েন্ট দুনিয়া এবং আখিরাত নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। তাই এই লেখাটা একটা reminder হিসেবে কাজ করলেই খুশি হবো! এভাবে ভাবতে হবে এমনটা নয় আপনারা আপনাদের মতো করে বিবেক দিয়ে দুনিয়া আর আখিরাত নিয়ে ভাবুন! আমার মুসলিম ভাইয়েরা নিশ্চয় বুদ্ধিমান। ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, লাভ-ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর নিজের জন্য ভালোটা বেছে নিতে নিশ্চয় আপনাদের সমস্যা হবে না। আপনারাই নির্ধারণ করবেন এই দুনিয়ার ৭০-৮০ বছরের জীবন নাকি আখিরাতের অনন্ত জীবন! অপশন আল্লাহর, পছন্দ আপনার! আর একজনও যদি এই লেখাটা পড়েন যদি অগোছালো, গাবলা মনে হয় তাহলে বলব লেখাটা এক পাশে সরিয়ে রেখে একটা আয়াত মনে রাখুন যা আমার লেখাটা sum up করলে দাঁড়ায়…

“প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে আর তোমাদেরকে (তোমাদের কাজের) পুরোপুরি প্রতিদান কেয়ামতের দিন দিয়ে দেওয়া হবে। ভাল কাজের পুরস্কার বেহেশ্ত আর খারাপ কাজের পুরস্কার জাহান্নাম। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে আর জান্নাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, সেই চূড়ান্ত সফলতা লাভ করল। আর দুনিয়ার জীবনতো ধোঁকার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়।” [৩:১৮৫]