[জাইরা ওয়াসিম। সাম্প্রতিক সময়ের একজন জনপ্রিয় বলিউড অভনেত্রী। অভিনয় করেছেন তুমুল জনপ্রিয় কিছু ছবিতে। আজ হঠাৎ ফেসবুকে তিনি একটা পোস্ট দিয়ে বলিউড জগতের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছেদ করার ঘোষণা দেন। আবেগঘন, অনুপ্রেরণাদায়ী সেই লেখাটা আমরা অনুবাদ করে পাঠকের জন্য উন্মুক্ত করে দিলাম। আল্লাহ যেন এই কথাগুলো, হৃদয়ের এই উপলব্ধিগুলো আরো হাজারো মানুষের হেদায়াতের উছিলা বানিয়ে দেন। আমীন।]
"আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি এমন একটি সিদ্ধান্ত নিই, যাতে আমার জীবনটাই পালটে যায়। বলিউডে তখন পা রাখামাত্রই বিপুল খ্যাতি আমাকে ঘিরে ধরে। আমাকে ঘিরেই যেন সবার আগ্রহ। মিডিয়া আমাকে উপস্থাপন করতে শুরু করে তরুণ সমাজের সাফল্যের চূড়ান্ত উদাহরণ হিসেবে। এটা আসলে কখনওই আমার লক্ষ্য ছিল না। বিশেষ করে সাফল্য-ব্যর্থতার যে নতুন ধারণা আমি আত্মস্থ করেছি, তা একেবারেই আলাদা।
পাঁচ বছর পাড়ি দিয়ে আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমার এই পেশাগত পরিচয় নিয়ে আমি একদমই খুশি নই। আমি যেন খুব লম্বা সময় ধরে এমন এক মানুষ হতে চাইছি, যা আসলে আমি নই। আমার সারাটা সময়, শ্রম আর আবেগ ব্যয় হচ্ছে যে দুনিয়ায়, সেখানে আমি চাইলেই খাপে খাপে বসতে পারি। কিন্তু আসলে এই জগৎ আমার নয়, আমিও এ জগতের কেউ নই। এই জগৎ আমাকে প্রচুর ভালোবাসা, খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে বটে; কিন্তু তার সাথে দিয়ে গেছে অজ্ঞতার অন্ধকার। নীরবে এবং নিজের অজান্তে আমি একটু একটু করে ঈমানের পথ থেকে সরে যেতে থাকি। যে ধরনের পরিবেশে আমাকে কাজ করতে হতো, তা ক্রমাগত আমার ঈমানের ক্ষতি করতে থাকে। নিজের ধর্মের সাথে আমার সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়ে যায়। আমি জোর করে নিজেকে বুঝ দিতাম যে, এগুলো করলে ধর্মের কোনো ক্ষতি হয় না। অথচ আমার জীবন থেকে বারাকাহ হারিয়ে যেতে থাকে। ‘বারাকাহ’ কথাটার অর্থ কেবল সুখ বা আনন্দ না, প্রশান্তি আর স্থিতিশীলতাও এর অন্তর্ভুক্ত। আমি এগুলোর খুবই অভাব বোধ করতে শুরু করি।
চিন্তা আর প্রবৃত্তির মাঝে বোঝাপড়া করিয়ে নিজের ঈমানের একটি স্থিতিশীল চিত্র তৈরি করার চেষ্টা করতাম। একবার না, দুইবার না; বারবার, হাজারবার। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হই। একদিন বদলে যাব—এই চিন্তায় আটকে থেকে দিনের পর দিন আমি ওই একই মানুষটিই রয়ে গেলাম। সবসময় নিজেকে বুঝ দিতাম যে, সময়মতো সব ঠিকঠাক করে নেব, তার আগ পর্যন্ত একটু সময় নিই। সেইসাথে প্রতিনিয়ত নিজেকে ঈমান ও প্রশান্তি বিনষ্টকারী পরিবেশে ছুঁড়ে ফেলার ব্যাপারটা তো ছিলই। সবকিছুকে আমি সোজাসুজি না নিয়ে বাঁকাভাবে দেখতাম। বাস্তবতা থেকে আমি সারাক্ষণই পালাতে চাইতাম। তবুও বুঝতাম কীসের যেন একটি অভাব আমাকে ভেতর থেকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আমি যেন পথের শেষে পথ হারিয়ে এক অবোধ্য যন্ত্রণায় মাথা কুটে মরছি। অবশেষে আমি যথেষ্ট সাহস সঞ্চয় করে নিজের অজ্ঞতা ও দুর্বলতার মুখোমুখি হলাম। শুরু করলাম আল্লাহর বাণীর সাথে অন্তরকে সংযুক্ত করে নিজের অজ্ঞতার চিকিৎসা। কুরআনের মহান ঐশী জ্ঞানে খুঁজে পেলাম পূর্ণতা ও প্রশান্তি। হৃদয় তো আসলে তখনই প্রশান্ত হয়, যখন সে তার স্রষ্টার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। তাঁর দয়া ও আদেশ-নিষেধগুলো জানতে পারে।
আমি অতি-আত্মবিশ্বাস ছেড়ে দিয়ে একদমই আল্লাহর রহমত ও হিদায়াতের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ি। ধর্মের একদম মৌলিক বিষয়গুলোতে নিজের অজ্ঞতা আমার কাছে ধরা পড়ে। বুঝতে পারি যে, নিজের পার্থিব কামনা-বাসনাকে প্রশ্রয় দেওয়ার ফল হলো অন্তরের এই প্রশান্তির অভাব। অন্তরের রোগ প্রধানত দুই প্রকার। একটি হলো সংশয় ও ভ্রান্তি, আরেকটি হলো খেয়াল-খুশি ও কামনা-বাসনা। কুরআনে দুই ধরনের রোগের কথাই আছে।
আল্লাহ বলেন, “তাদের অন্তরে রয়েছে (সংশয় ও কপটতার) রোগ এবং আল্লাহ তাদের রোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।” [সূরাহ আল-বাকারা ২:১০]
আমার বোধোদয় হলো যে, এই রোগের চিকিৎসা কেবল আল্লাহর দেওয়া হিদায়েতের মাধ্যমেই হতে পারে। আর সত্যিই তিনি আমাকে হিদায়াত করতে শুরু করেন।
কুরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ হয়ে ওঠে আমার মানদণ্ড। এগুলোর ভিত্তিতেই আমি সিদ্ধান্তগ্রহণ ও জীবনের অর্থের সন্ধান করতে থাকি।
মানুষের চাহিদা হলো তার নৈতিক বিশ্বাসের প্রতিফলন; বাহ্যিক আচরণ হলো অন্তরের পূর্ণতার নির্দেশক। তেমনি কুরআন-সুন্নাহর সাথে সম্পর্কের উপরই নির্ভর করে আল্লাহ ও দ্বীন ইসলামের সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন। জীবনের আকাঙ্ক্ষা, উদ্দেশ্য ও অর্থও নির্ধারিত হয় এগুলোর মাধ্যমে। সাফল্য এবং জীবনের অর্থ-উদ্দেশ্যকে আমি যেভাবে বুঝতাম, সেগুলোকে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করতে শুরু করলাম। আমার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ন্ত্রক নীতিমালা এক নতুন মাত্রা পেল। জীবনকে আমরা যে একচোখা, সংকীর্ণ ও গতানুগতিক দৃষ্টি দিয়ে দেখি, সেগুলো দিয়ে আসলে সাফল্য নির্ধারিত হয় না। আসল সাফল্য হলো আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য পূর্ণ করা। অন্ধভাবে জীবনের পথ চলতে চলতে আমরা ভুলেই যাই কেন আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছিল।
“যারা পরকালের প্রতি ঈমান রাখে না, তাদের অন্তরকে ওই দিকে অনুরক্ত হতে দাও; এবং তারা যেন তাতে সন্তুষ্ট থাকে, আর তারা যেসব কাজ করে তা যেন তারা আরও করতে থাকে।” [সূরাহ আল-আন’আম ৬:১১৩]
ভালো-মন্দ কখনও ব্যক্তিস্বার্থ বা পার্থিব মানদণ্ডে নির্ধারিত হয় না। আল্লাহ বলেন,
“(ক্ষয়িষ্ণু) সময়ের শপথ। নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিতে নিমজ্জিত। শুধু তারা ছাড়া, যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে, সত্যের দিকে আহ্বান করে এবং ধৈর্যের আহ্বান করে।” [সূরাহ আল-আসর ১০৩: ১-৩]
আত্মার সাথে এই দীর্ঘ যুদ্ধ আমার জন্য বড় ক্লান্তিকর ছিল। জীবনটা ছোট, আবার নিজের সাথে যুদ্ধ করে যাওয়াটা বড় দীর্ঘ। অবশেষে আজই সেই দিন, যেদিন আমি জেনেবুঝেই এই পেশার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের খোলাখুলি ঘোষণা দিচ্ছি। এই যাত্রার সফলতা নির্ভর করে প্রথম পদক্ষেপটি কীভাবে নিচ্ছেন, তার উপর। নিজেকে খুব পূত-পবিত্র হিসেবে তুলে ধরাটা আমার এই প্রকাশ্য ঘোষণার উদ্দেশ্য নয়। বরং আমার এই নতুন জীবন সূচনার প্রাক্কালে এইটুকু আমার করাই উচিত। এটা কেবলই আমার প্রথম পদক্ষেপ। এই পথে চলতে শুরু করা আমার স্বচ্ছ উপলব্ধির ফল। আমি এই পথেই থাকতে চাই, এর জন্যেই সংগ্রাম করে যেতে চাই। অতীতে আমি জেনে বা না জেনে অনেক মানুষের মনে উচ্চাশার বীজ বপন করে থাকতে পারি। কিন্তু সকলের প্রতি আমার একটি আন্তরিক পরামর্শ। কারো সাফল্য, খ্যাতি, প্রতিপত্তি বা সম্পদ যত বেশিই হোক না কেন, আপনার অন্তরের প্রশান্তি এবং ঈমানের নূরের তুলনায় এগুলো একদমই মূল্যহীন। কুপ্রবৃত্তির কাছে যেন আত্মসমর্পণ করতে না হয়, সে জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। কারণ কামনা-বাসনার আসলে কোনো শেষ নেই। এইমাত্র যা পেলেন, একটু পরই এরচেয়ে বেশি কিছু একটা পেতে মনে চাইবে। দ্বীন ইসলামের পূর্ণাঙ্গ সত্যকে গোপন করে কেবল নিজের ইচ্ছে-বাসনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অংশের অনুসরণ করা মানে নিজের সাথে প্রতারণা করা। নিজেদের ঈমানের গুরুতর ত্রুটিকে আমরা কখনও কখনও দার্শনিক কথাবার্তা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের মুখ যা বলে, অন্তরে তা থাকে না। তারপরও আমরা একে আঁকড়ে ধরার অজুহাত খুঁজি। আল্লাহ কিন্তু আমাদের এই স্ববিরোধিতার কথা ঠিকই জানেন। তিনি সব না-বলা কথা জানেন। তিনি সর্বশ্রোতা (আস-সামি’), সর্বদ্রষ্টা (আল-বাসীর) এবং সর্বজ্ঞানী (আল-‘আলীম)। “আর আল্লাহ জানেন, যা তোমরা গোপন করো এবং যা তোমরা প্রকাশ করো।” [সূরাহ আন-নাহল ১৬:১৯]
নিজের ভ্রান্ত মতবাদকে প্রশ্রয় না দিয়ে সত্যিকারের চেষ্টা করুন। ঈমান ও ইখলাসে ভরা একটি অন্তর দিয়ে তখন সত্যকে উদ্ঘাটন করতে পারবেন। “হে মু’মিনগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার একটি মান-নির্ণায়ক শক্তি দান করবেন।” [সূরাহ আল-আন’আম ৮:২৯]
আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও সীমালঙ্ঘনের মাঝে কখনও সাফল্যের রোল মডেল খুঁজতে যাবেন না। এ ধরনের মানুষগুলো যেন আপনার পছন্দ-অপছন্দ বা লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের নিয়ামক না হয়ে ওঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মানুষ যাকে ভালোবাসে, তার সাথেই (হাশরের ময়দানে) থাকবে।” জ্ঞানীদের কাছ থেকে অজানা বিষয়গুলো জেনে নিন। অহংকার ঝেড়ে ফেলুন। আল্লাহর দেওয়া হিদায়াতের মুখাপেক্ষী হোন। তিনিই অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী। তিনি যাকে পথ দেখান, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। কোন জিনিসটা জানতে হবে বা পরিবর্তন করতে হবে, তা বুঝতে পারার মতো জ্ঞানবুদ্ধি সবার থাকে না। কাজেই এ ধরনের মানুষগুলোকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা, গালমন্দ করা, ছোট করা বা উপহাস করাও অনুচিত। বরং আমাদেরই দায়িত্ব হলো পরস্পরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সঠিক উপলব্ধি অর্জনে সাহায্য করা। ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। “আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয় স্মরণ করিয়ে দিলে মুমিনরা উপকৃত হয়।” [সূরাহ আয-যারিয়াত ৫১:৫৫]
শত্রু শত্রু ভাব নিয়ে মানুষের উপর ‘হক কথা’ ছুঁড়ে মারলে বা জোর করে গলা দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেই কাজ হবে না। বরং নম্রতা ও দয়ার মাধ্যমে আশপাশের মানুষদের মন জয় করতে হবে।
“যদি কাউকে ভুল করতে দেখো, তাকে সংশোধন করে দেবে। তার জন্য দু’আ করবে। তাকে অপমান করার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে শয়তানকে সাহায্য করবে না।”—উমার বিন আল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)
কিন্তু সেটা করার আগে নিজের হৃদয়, কাজ, নিয়্যাত ও আচরণে ইসলামের সঠিক উপলব্ধির প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তারপর অন্যের উপকারে এগুলো ব্যবহার করতে হবে। উপলব্ধি, বিশ্বাস ও আচরণ সংক্রান্ত দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলো যাদের কাছে অস্পষ্ট, তাদের এগুলো বুঝতে সাহায্য করতে হবে। আর মনে রাখবেন, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার এই পথে যাত্রা শুরু করলে বাধা, বিপত্তি, ঠাট্টা, নিন্দার মুখোমুখি হওয়া লাগবেই। এমনকি আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষগুলোর কাছ থেকেই এ ধরনের আচরণ পেতে পারেন সবচেয়ে বেশি। আপনার অতীত জীবনের কথা তুলে মানুষ খোঁটা মারতে পারে। কিন্তু এতে আশা হারাবেন না। আল্লাহর দয়া ও হিদায়াত থেকে নিরাশ হবেন না। আল্লাহ হলেন আল-হাদি (পথপ্রদর্শনকারী)। অতীতের কথা ভেবে তাওবাহ করা থামিয়ে দেবেন না। কারণ আল্লাহ আল-গাফফার (বারবার ক্ষমাকারী)। “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাহকারীদেরকে ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরকেও ভালোবাসেন।” [সূরাহ আল-বাকারা ২:২২২]
অন্যের মন্তব্য, বিদ্রূপ, গালাগালি, কথাবার্তা বা মানুষের প্রতি ভয় যেন আপনাকে এ পথ থেকে সরিয়ে না দেয়। আপনার বিশ্বাসকে পুরোপুরি প্রকাশ করুন। আল্লাহই আপনার আল-ওয়ালি (অভিভাবক, সাহায্যকারী)। ভবিষ্যতে কী বিপদ হবে বা হবে না, এগুলো নিয়ে ভয়ে মূর্ছা যাবেন না। কারণ আল্লাহ হলেন আর-রাযযাক (রিযকদাতা)। এ এক দুর্গম, জটিল ও সঙ্গীবিহীন যাত্রা হতে পারে। বিশেষত এখনকার যুগে তো বটেই। কিন্তু মনে রাখবেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এমন এক সময় আসবে, যখন দ্বীন আঁকড়ে ধরে রাখা জ্বলন্ত অঙ্গার ধরে রাখার মতো কষ্টকর হবে।”
আল্লাহ যেন আমাদের তরীগুলোকে পথ দেখিয়ে তীরে নিয়ে ভেড়ান, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করেন। আল্লাহ যেন আমাদের ঈমান মজবুত করে দেন, তাঁর যিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন, অন্তরের অবিচলতা ও সংকল্পের দৃঢ়তা দান করেন। আল্লাহ যেন তাঁর প্রজ্ঞার গভীর বুঝ আমাদের দান করেন, নিজেদের সংশয় ও ভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে অপরের হিদায়াতের উসিলা হতে সাহায্য করেন। তিনি যেন আমাদের অন্তরকে কপটতা, অহংকার ও অজ্ঞতা থেকে পবিত্র করে দেন। নিয়্যাত, কথা ও কাজে পরিশুদ্ধি দান করেন। আমীন।"
মূল লেখা: জাইরা ওয়াসিম
অনুবাদ: Bookmark Publication