সময়টা বড়ই অস্থির
এক পা আগালে দুই পা পিছাতে হয়,
নিত্য ব্যস্ততা ও কোলাহলের মধ্যেও
সব কিছু কেমন যেন নিথর নিস্তব্ধ,
পাড়ার কুকুরগুলোও কয়েকদিন ধরে একটু বেশিই নিশ্চুপ
ফরমালিন মেশানো মাছের মত
মানুষের মুখের হাসিও কেমন যেন অসাঢ়,
শহুরে যান্ত্রিক জীবনের আড়ালে ভূতুড়ে নীরবতা
যেন কুয়াশার চাদরে জড়ানো শীতের বিবর্ণ সকাল।
তুমি নেই বলেই হয়ত সব কিছু এমন স্থির
গুমোট মেঘের আড়াল আকাশের নীল,
টংয়ের চা,
তিন তলা,
মিতালী হোটেল,
আকাশের খিচুড়ী,
বিকেলের ক্রিকেট,
রাতভর আড্ডা,
তারুণ্যের উচ্ছ্বাস,
আগামী প্রজন্মকে গড়ার অঙ্গীকার,
সব কিছুতেই যেন জারি করা সামরিক হুলিয়া।
জানি তুমিও ভালো নেই,
বিপ্লবী কখনো অলস সময়ে ভালো থাকে না,
নিয়ত মজলুমের চোখের অশ্রু
তার আত্মার বোধে আঘাত হানে,
দ্রোহের রক্ত ফিনকি দিয়ে বেরুতে চায়
ধুয়ে দিতে চায় যত সব অস্থির অসহায়ত্ব,
তোমার রক্ত তো বিপ্লবের আগুন
নিস্ক্রিয়তায় তোমার তাই ভালো থাকার কথা না।
এদিকে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে পুলিশের ধরপাকড়
বাড়ছে মিথ্যাচার, গুম, খুন;
অনাহারী মানুষের আর্তনাদও বাড়ছে
তোমাকে তাই ফিরতে হবে
সামাজিক ন্যায়ের অমোঘ সংগ্রামে।
তুমি আসবে বলেই
তোমার ভালো না থাকা
আর হুলিয়াক্রান্ত বোধের অসাড়তার মধ্যেই চলছে
তোমাকে বরণ করার আন্তরিক প্রস্তুতি,
তুমি ফিরে আসবে
অভুক্ত অসহায়ের তল্লাট ছেড়ে,
সমৃদ্ধ আগামীর নকীব হয়ে
যেভাবে মূতার প্রান্ত হতে ফিরেছিল খালিদ বিন ওয়ালিদ।