যখন আল্লাহ কাউকে ভালবাসেন, তাকে অনেক অর্থ সম্পদ দিয়ে দেন না। তার প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষমতার মধ্যেও কোন প্রবৃদ্ধি ঘটে না। বরং তিনি যদি কাউকে ভালবাসেন তাকে নেক আমলের তাউফিক দেন। পুরো রমাদান যদি আপনি রোজা রাখতে পারেন, যদি রাত জেগে তার ইবাদত করার সৌভাগ্য হয়, আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, সেই মহান রব আপনাকে অনেক ভালবাসেন। তিনি আপনাকে পছন্দ করেন বলেই আপনি তার দিকে দুহাত তুলে চাইতে পারেন, তিনি ভালবাসেন বলেই তার নাম উচ্চারনের সৌভাগ্য আপনার হয়।
এর উল্টো দিকে, যখন তিনি কারো উপর রাগ হন, তিনি কিন্তু তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেন না। তার খাবার দাবারের যোগানও বন্ধ হয় না। বরং হয়তো সে আগের চেয়ে আরও ভাল থাকার কিংবা খাওয়ার সুযোগ পায়। কেউ তাঁর নাফরমানি করলে, তাকে তিনি সাথে সাথে শাস্তি দেন না। তার পায়ের নিচ থেকে জমিন সরে যায় না, মাথার উপর ছাদও ভেঙ্গে পড়ে না।
কিন্তু তিনি অসন্তুষ্ট হলে, তার অন্তরে মরিচা পড়ে যায়। ইবাদতে তার মন বসে না, নামাজ পড়তে তার আর ভাল লাগে না। দ্বীনের কোন কথা শুনলে বিরক্তি আসে, তিলাওয়াতের সুরের চেয়ে গানের সুরই তার কাছে প্রিয় মনে হয়। তার সাধ জাগে না, গভীর রাতে একাকী সিজদায় যেয়ে কাঁদতে। আফসোস তার হয় না, কেন সে ফজরে আর উঠতে পারে না।
সেই মানুষটি তো ভাবতে থাকে, এসবই তার ইচ্ছাধীন বিষয়। সে নামাজ পড়তে চায় না বলেই,পড়া হয় না। তার তেমন ভাল লাগে না বলেই, অন্যান্য আমলগুলোও সবসময় করা হয় না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, তারই গুনাহের কারণে, তার থেকে সেই ইবাদতের নিয়ামত ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তারই বদআমলের কারণে, সে আর পায় না আমলের সেই মিষ্টতা......