শরতের কাশফুলের মত
মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া অসংযত চুল,
কবিতার মত চোখ আর কৃষ্ণচূড়ার সাজ,
মুগ্ধ হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে প্রেমের তিয়াস,
খুব করে ছুঁতে মন চায়
কলমি ফুলের পাঁপড়ি ছোঁয়া দুরন্ত ফড়িং,
মধ্যরাতের পুকুরে
নকশা আঁকা জোনাকির উত্তাপ,
তবুও চোখ তুলে চাইনি আরেকবার
সংযত করেছি দ্বিতীয় দৃষ্টি,
কারন বিশ্বাসের সবকে শিখেছি
তা নিজের নয়, আযাযিলের।
খুব কাছে এসেও দূরে সরতে গিয়ে
হৃদয়ে বেজেছে
বিষাদ মাখা দোয়েলের শিষ,
তবুও আশ্বিনের প্রথমে, ধানক্ষেতের সবুজে
নত চোখে দাঁড়ানো বকের মত
স্থির দৃষ্টিতে ধারন করেছি সংযমের সাহস।
যদি সুকুন চাও
চাও বৃষ্টিভেজা পাও ফুলের মত
স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা,
তবে নিজেকে জুড়ে নাও বিশ্বাসের সূতায়,
ক্বলমা পড়েই দুজনে তখন
মেনে নিব বৈধ বন্ধন,
এরপর কনকচূড়ার মুঠো হাতে
চোখ তুলে দেখব তোমায় দ্বিতীয়বার,
পবিত্র সে লগনে, বধূবরণের তরে
চারপাশে ঘিরে থাকবে
পায়রার চরের সন্ধ্যার রঙ।
দুহাতে আবির মেখে তখন
ভালোবাসার লিবাস হয়ে
জড়িয়ে নিব তোমার হৃদয়।
সকালের নরম রোদের দোহাই,
দোহাই রাতের
যখন ঘন হয়ে ওঠে নিস্তব্ধ অন্ধকার,
ভালোবাসলে তোমার হৃদয়ও হবে
পাখির মতন,
ডানা মেলে তুমিও ছুঁবে তখন
মেঘের আকাশ,
কালো মেঘে ঢেকে যাওয়া পূর্ণ চাঁদ;
মুগ্ধ চোখে দেখবে
জোনাকির কোমল আলোয়
হরিণবাড়িয়ার বুকে বৃষ্টির নৃত্য,
শরতের বাতাসে দুলে ওঠা ছোট নাও,
আর দেখবে জীবন এবং
মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার আনন্দ।