লেন্সের কাজ কী? এর মাধ্যমে আমরা ‘দেখি’। লেন্স কথাটা শোনামাত্র হয়তো আমরা চশমা, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, দূরবীন বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের লেন্সের কথা ভাবি। কিন্তু আমাদের প্রাকৃতিক যে চোখ, অ্যানাটমিতে সেটারও একটা অংশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লেন্স’। এই লেন্সটা তার আকার পরিবর্তনের মাধ্যমে চোখের ফোকাল দূরত্বকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বিভিন্ন দূরত্বে থাকা বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব রেটিনা হয়ে আমাদের মস্তিষ্কে যায়। তখন আমরা ওই বস্তুটাকে দেখতে পাই।

যার চোখে সমস্যা রয়েছে, সে চোখে চশমা বা লেন্স পরে। ওই কৃত্রিম লেন্সটা তার পাওয়ার অনুযায়ী প্রাকৃতিক চোখের লেন্সটার সাথে একটা সমঝোতায় আসে। তাই খালি চোখে যেই জিনিসটা অস্পষ্ট দেখা যেতো, চশমা দিয়ে সেটা স্পষ্ট দেখা যায়। আবার অণুবীক্ষণ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের লেন্সও চোখের লেন্সের সাথে সমঝোতা করে। তাই ব্যাক্টেরিয়াম বা মঙ্গল গ্রহের এমন সব জিনিস দেখা যায়, যা খালি প্রাকৃতিক চোখে দেখা যায় না।

আমাদের চিন্তাধারার সামনেও এরকম একটা লেন্স থাকে। এটাকেই আমরা বলি ‘দৃষ্টিভঙ্গি’। ধরুন, আপনি পৃথিবীটাকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের লেন্স দিয়ে দেখেন। তাহলে বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি, বাঙালি মানুষ সম্পর্কে আপনার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত বা অনুভূতি থাকবে।

চোখের সামনে একটাই লেন্স থাকবে, এরকম কোনো কথা নেই। আপনি যদি চাশমিশ হন, তাহলে আপনার প্রতিটি চোখে দুটি করে লেন্স থাকবে। একটা প্রাকৃতিক চোখের, আরেকটা চশমার। তেমনি এথনিসিটির দিক দিয়ে বাঙালি হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় দিক থেকে আপনি মুসলিম হতে পারেন। অর্থাৎ, বাঙালিয়ানার লেন্সের সাথে ইসলামেরও একটা লেন্স আপনার চোখে আছে। তখন কুরআন মাজীদ, আরবি ভাষা বা রোহিঙ্গা মানুষদের নিয়েও আপনার আলাদা অনুভূতি থাকতে পারে। আবার চশমা পরেও কেউ চোখে দূরবীন লাগিয়ে দূরের জিনিস দেখতে পারে। তাহলে লেন্স তিনটা হয়ে গেলো। এভাবেই আপনি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থক হতে পারেন। তাহলে বাঙালিয়ানার লেন্স, ইসলামের লেন্স আর আওয়ামী লেন্স মিলে আপনার একটা দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠলো।

এখানে লক্ষণীয় যে, ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ শুধু চিন্তার জগতে আটকে থাকে না। মানুষের কথা আর কাজ তার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, উপরের তিনটা লেন্সের অধিকারী হলে আপনি বাঙালিসুলভ খাবার খাবেন, বাঙালিসুলভ পোশাক পরবেন, হয়তো শুক্রবার দুপুর বেলায় সালাত আদায় করবেন, রমাদ্বানে সিয়াম সাধনা করবেন, আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে যাবেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এভাবে জীবনের প্রতিটা দিক ধরে ধরে বিবেচনা করলে দেখা যায় আমাদের চিন্তাধারার সামনে বেশ কয়েকটি বা এমনকি অসংখ্য লেন্স লাগানো থাকতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো, এরকম কোনো লেন্স ছাড়া দুনিয়াটাকে দেখা সম্ভব কি না। সেটা বোঝার জন্য আমরা আমাদের প্রাকৃতিক চোখের কথা ভাবতে পারি। লেন্স ছাড়া চোখ আসলে হয় না। কারণ অ্যানাটমিক্যালি ‘লেন্স’ চোখেরই একটা অংশ, চশমা পরুন বা না পরুন, দূরবীন লাগান বা না লাগান। তেমনি আপনার-আমার চিন্তাধারা অবশ্যই অবশ্যই কোনো না কোনো ideology দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। Ideology এর লেন্স ছাড়া একদম raw অবস্থায় আপনি কখনোই দুনিয়াটাকে দেখতে পাবেন না। Ideology ছাড়া পৃথিবীটাকে দেখতে চাওয়ার অর্থ হলো চিমটা দিয়ে খুঁটে চোখ থেকে লেন্স, রেটিনা, কর্নিয়া বের করে ফেলার চেষ্টা করা। আপনি লেন্স পাল্টাতে পারবেন, কিন্তু খুলে রাখতে পারবেন না। আর এই লেন্সগুলো এমনই ওতপ্রোতভাবে আমাদেরকে ঘিরে আছে যে, তারা প্রায় অদৃশ্য। আমরা বুঝতেই পারি না যে আমরা ideology এর খাঁচায় বন্দী। খাঁচা কেন বললাম? কারণ এই ideology গুলো আপনার-আমার সামনে ভালো-খারাপ, নৈতিক-অনৈতিক, বৈধ-অবৈধের একটা জগত গড়ে তোলে। এই জগতটার বাইরে আমরা দেখতে পাই না, ভাবতে পারি না।

এসব লেন্সের ব্যাপারে একটা কথা স্পষ্ট। এসব লেন্স আমরা নিজেরা বানাইনি। কেউ না কেউ বানিয়ে দিয়েছে। আমরা তার একটা বা কয়েকটা লেন্সকে গ্রহণ করে নিয়েছি। আবার যারা লেন্সগুলো বানিয়েছে, তারাও যে খুব মৌলিক কাজ করেছে তাও না। হয়তো তার বানানো লেন্সটা এরও আগে তৈরি হওয়া দুই বা ততোধিক লেন্সের সিন্থেসিস! এবং প্রতিটি লেন্সই নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতায় অনন্য। কখনো বা নিজ নিজ শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে একটা আরেকটার সাথে ঠোকাঠুকিতে লিপ্ত। এখানে এসেই ‘মুক্তচিন্তা’ বা ‘মুক্তমনা’ কথাগুলো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়।

এর সবচেয়ে ক্লিয়ার উদাহরণ মনে হয় ভাষা। এই যে আমি এই লেখাটা লিখছি বা আপনারা পড়ছেন, ভাষার কিছু নিয়ম মেনে না নিলে এটা সম্ভব হতো না। কোন ধ্বনি কোন বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হবে, বর্ণগুলো দেখতে কেমন হবে, পার্টস অব স্পীচগুলো কোন সিরিয়ালে বসবে সবই কেউ না কেউ নির্ধারণ করে দিয়েছে। সচেতন বা অবচেতনভাবে আমরা তা শিখেছি বা আমাদেরকে শেখানো হয়েছে। সেজন্যই এই লেখাটার মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ভাবের আদানপ্রদান সম্ভব হচ্ছে। ভাষাও কিন্তু একটা লেন্স, একটা ideology, একটা খাঁচা! এটা আপনার-আমার চিন্তাধারা বা দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দিচ্ছে অনেকক্ষেত্রেই।

আমি ফেমিনিজমের মাধ্যমে আরেকটা খুব সরলীকৃত উদাহরণ দিচ্ছি। বোঝানোর সুবিধার্থে। ফেমিনিজমকে vilify করা বা আনুষঙ্গিক জটিলতাগুলোকে অস্বীকার করা আমার উদ্দেশ্য না। ধরুন আপনি একজন নারী। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে স্বাভাবিকভাবেই আপনার যা করণীয়, সেগুলো করেই আপনার জীবন কাটছে। এমন সময় কোনো এক নারীবাদী এসে আপনাকে জানালো, “তুমি ভাবতেসো নেচারালিই তোমার এইসব কাজ করার কথা, না? মোটেও না! শুনো, কেউ নারী হয়ে জন্মায় না। বরং তাকে নারী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।” (সিমোন দ্য বোভোয়ারের একটি বৈপ্লবিক উক্তির সারনির্যাস) তখন আপনি হঠাৎ খেয়াল করলেন, আরে তাই তো! এই সমাজ ঠিক করে দিয়েছে আপনি কোন খেলনা দিয়ে খেলবেন, কী কাপড় পরবেন, কোন কোন কাজ করবেন। তাই আপনি সমাজের আরোপিত এসব প্রথার বিরূদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।

এতটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে। সমস্যাটা হয় যখন আপনি ভাবেন যে আপনি ‘মুক্ত’ হয়ে গেছেন। নতুন একটা কথা শোনামাত্রই যে আপনি সেই আইডিয়াটা লুফে নিলেন, তার মানে আপনি একটা লেন্স পাল্টে অন্য আরেকটা লেন্স পরলেন। আপনি একটা খাঁচায় ছিলেন, অন্য আরেকটা খাঁচা সামনে ধরা মাত্রই আপনি আগেরটার শিক ভেঙে লাফ দিয়ে নতুন খাঁচায় চলে গেলেন। আপনার সামনে তো দুটোই অপশান ছিলো—শার্ট পরা অথবা কামিজ পরা (আগেই বলেছি, খুব সরলীকৃত উদাহরণ দেবো। ফেমিনিজম কেবলই শার্ট-কামিজের দ্বন্দ্ব নয়)। সমাজ আপনাকে কামিজ পরতে বলতো, বিদ্রোহ করার পর আপনি শার্ট পরলেন। এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায়। অথবা সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ‘জেন্ডার-নেউট্রাল’ পোশাক বানালেন, সেটাও আপনার মাথায় আগে থেকে ফিট করা বিভিন্ন পোশাকের ডিজাইনের সিন্থেসিস মাত্র। শীঘ্রই এই খাঁচার নিজস্ব সীমাবদ্ধতাগুলো আপনার সামনে স্পষ্ট হবে। আপনি নতুন খাঁচা খুঁজবেন।

আমাকে সমাজবাদের খাঁচা থেকে আপনি পুঁজিবাদের খাঁচায় নিতে পারবেন। এটা যে আগের খাঁচাটার চেয়ে ভিন্নরকম, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা কি আগের খাঁচাটার চেয়ে ভালো? এর উত্তরটা অবশ্যই আলোচনাসাপেক্ষ, এমনকি তর্কসাপেক্ষ; এবং অতি অবশ্যই (তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক) প্রমাণসাপেক্ষ, যেটা আবার নির্ভর করবে কোন কোন বিষয়কে আপনি প্রমাণ বলে মানতে রাজি আছেন সেটার উপর।

খাঁচাগুলো এমনই। এই সমগ্র অস্তিত্বশীল জগত হলো খাঁচার একটা সিরিজ। কিন্তু খাঁচাগুলো স্বীকার করে না, তারা যে খাঁচা। এমনকি খাঁচার অধিবাসীরাও জানতে পারে না যে, তারা খাঁচায় আছে। কখনো যদি কেউ জানতে পারেও, তাহলে সে বড়জোর এক খাঁচা ভেঙে বা খুলে অন্য খাঁচায় চলে যায়। গিয়ে সেই নতুন খাঁচাটাকেই ভাবে ‘মুক্তি’। এভাবেই একদল লোক নিজেদের পছন্দের খাঁচার গায়ে ‘মুক্তচিন্তা’ আর ‘মুক্তমন’ এর ঝাঁ-ঝকঝকে সাইনবোর্ড টাঙায়। খাঁচাবাসীরা কখনো জানতেও পারবে না খাঁচার এই সিরিজের বাইরে কী আছে, আদৌ কিছু আছে কি না।

তবে একটা কাজ অবশ্যই আপনি কৃতিত্বের সাথে করতে পারবেন। আপনি স্বেচ্ছায় একটা খাঁচা বেছে নিবেন এবং স্বীকার করবেন যে, আপনি খাঁচায় আছেন। সেই সাথে খাঁচা নিজেও স্বীকার করবে যে, সে একটি খাঁচা। প্রবল সম্ভাবনা আছে যে, নিজের ব্যাপারে অনেস্ট এই খাঁচাটাই হয়তো অন্য সব খাঁচার চেয়ে সেরা হবে, এবং হয়তো এটাই আসলে ‘মুক্তি’।

এই খাঁচাটার নামই ইসলাম। আপনি এখানে ঢুকতে চাইলে আপনাকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে যে, আপনি আল্লাহর দাসত্বের শিকল গলায় পরতে চলেছেন। শুনতে প্রথম প্রথম ভয় লাগবে। কিন্তু ঢোকার পর আপনি দেখবেন যে, খাঁচার শিকগুলো আপনাকে বন্দী করছে না, বরং বাইরের ঝড়ঝাপটা থেকে রক্ষা করছে। কখনো যদি আপনি এই খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে যান, তাহলে অবশ্যই নিজেকে তাগুতের খাঁচায় আবিষ্কার করবেন। দাসত্ব মানুষের জন্মগত অধিকার। সৃষ্টিগতভাবেই আপনি কারো দাস না হয়ে থাকতে পারবেন না। মনিবের জায়গায় যদি আপনি আল্লাহকে না রাখেন, তাহলে সেই জায়গাটা খালি পড়ে থাকবে না। অবশ্যই অবশ্যই তাগুত বা মিথ্যা উপাস্যরা এসে সেই জায়গা দখল করবেই করবে। লা রইবা ফীহ!

“দ্বীনের মধ্যে জবরদস্তির অবকাশ নেই, নিশ্চয় হিদায়াত গোমরাহী হতে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি মিথ্যে মা’বুদদেরকে (তাগুতকে) অমান্য করলো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলো, নিশ্চয়ই সে দৃঢ়তর রজ্জু ধারণ করলো যা ছিন্ন হওয়ার নয়। আল্লাহ সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞাতা। আল্লাহ মু’মিনদের অভিভাবক, তাদেরকে অন্ধকারগুলো থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন এবং কাফিরদের অভিভাবকেরা হচ্ছে তাগুত, সে তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারগুলোর দিকে নিয়ে যায়। এরাই আগুনের বাসিন্দা, এরা চিরকাল সেখানে থাকবে।” [সূরাহ আল-বাক্বারাহ (২): ২৫৬-২৫৭]

পার্থিব সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকেও কিন্তু আমরা নানারকম দাসত্বের মাঝে পার্থক্য করে থাকি। ঘরের লোকদের জন্য যে চা বানায়, তাকে তুচ্ছার্থে আমরা বলি চাকর। আবার ব্যাংকের বড় পদে যে চাকর-ি করে, তাকে আমরা খুব সম্মান দেখাই। তাগুতের দাসত্ব আর আল্লাহর দাসত্বের মাঝেও পার্থক্য আছে। আল্লাহর দাসত্ব অপমানের নয়, বরং সম্মানের। কুরআনে যেসব জায়গায় বড় বড় নিয়ামাত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেসব জায়গায় আল্লাহ ‘আব্দ (দাস/বান্দা, বহুবচন ‘ইবাদ) শব্দ ব্যবহার করেছেন। রাসূলুল্লাহর ﷺ জন্য বিরাট মর্যাদা ছিলো ইসরা-মি’রাজের ঘটনা। আল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেছেন,

“পবিত্র ও মহীয়ান তিনি (আল্লাহ) যিনি তাঁর বান্দাহকে (মুহাম্মাদ ﷺ) রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য। তিনি (আল্লাহ) সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” [সূরাহ বানী ইসরাঈল (১৭):১]

মৃত্যু বা কবর থেকে উত্থান বা শেষ বিচারের সময় নেক লোকদেরকে বলা হবে,

“হে প্রশান্ত আত্মা! তোমার প্রতিপালকের দিকে ফিরে এসো সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের মাঝে শামিল হও এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।” [সূরাহ আল-ফাজর (৮৯):২৭-৩০]

যারা জাহান্নামে যাবে, তারাও আল্লাহর বান্দা ছাড়া কিছুই না। কিন্তু জান্নাতিদেরকেই আল্লাহ বিশেষভাবে নিজেদের দাস বলে সম্মানিত করেছেন।

জীবন যেহেতু একটিই, এবং তা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন লেন্স পরতে চাই, কোন খাঁচায় থাকতে চাই, কার গোলামি করতে চাই।


প্রথম প্রকাশিতঃ November 9, 2017