“রামাদান আসে রামাদান যায়। কিন্তু আমি সে-ই আগের আমিতেই রয়ে যাই।”– প্রতি বছরই রামাদান শেষে আমাদের অনেকেরই এমন অনুভূতি হয়ে থাকে। সাধারণত প্রায় আমরা সবাই প্রতিবছর রামাদানের আগে নিজেকে বদলানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। কিন্তু রামাদান শেষে দেখা যায় আমাদের মাঝে পরিবর্তন খুবই সামান্য এবং তা স্বল্পস্থায়ী। দুঃখজনক হলেও সত্য এই ব্যর্থতা সম্পর্কে আমরা বুঝতে পারলেও এর পেছনের কারণ এবং ব্যর্থতাকে সফলতায় পরিণত করার উপায় ও করণীয় সম্পর্কে আমরা খুব কম মানুষই ভাবি। আমাদের সামনে আবার আসছে রামাদান। কিন্তু নিজেকে বদলানোর জন্য এবার আমরা পুরোপুরি তৈরি তো?
পূর্বের রামাদানগুলোতে আমাদের ব্যর্থতার কারণ কী ছিলো এবং সেই ব্যর্থতাগুলোকে সফলতায় পরিণত করতে আমাদের করণীয় কী তার কিছু দিকনির্দেশনা নিয়েই ইনশা আল্লাহ আমার এই লেখা। লেখার প্রথম ভাগে আমরা আমাদের বিগত রামাদানগুলোতে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণগুলো খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবো। ফলে দ্বিতীয় ভাগে এই কারণগুলোর আলোকেই আমাদের এবারের করণীয় সাজাতে পারবো।
বিগত রামাদানে ব্যর্থতার কারণঃ
১. পরিকল্পনার অভাবঃ আমাদের বিগত রামাদানগুলোতে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো পরিকল্পনার অভাব। রামাদানের আগে নিজেকে বদলানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও আমাদের অনেকেরই হয়তো কীভাবে কী করতে হবে তার কোন পরিকল্পনা ছিলো না। ফলে রামাদানের প্রথম কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ধীরে ধীরে আমরা আমাদের রামাদান পূর্ববর্তী জীবনেই ফিরে যাই। একে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যে কোন দূরবর্তী গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সাথে তুলনা করতে পারি। সাধারণত এজন্য আমরা প্রথমেই ঠিক করে নেই কোন বাহনে আমরা যাবো, তারপর ঠিক করি কোন স্টেশান কিংবা এয়ারপোর্টে যাবো, তারপর স্টেশান কিংবা এয়ারপোর্ট যাবার পথকেও হয়তো ভাগ করে নেই, যেমনঃ বাস, সিএনজি নাকি রিক্সায় যাবো। ঠিক একইভাবে রামাদানের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যও আমাদের কিছু করণীয় ঠিক করে নিতে এবং তা অবশ্যই রামাদানের আগে। আর তা হতে পারে পুরো রামাদান মাসকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কিংবা দৈনন্দিন কিছু লক্ষ্য স্থির করার মাধ্যমে।
২। অবাস্তব পরিকল্পনাঃ আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিকল্পনা থাকলেও তা এতটাই অবাস্তব যে পূরণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় দৈনন্দিন কিংবা পুরো রামাদানের পরিকল্পনার একটি বিরাট অংশই থেকে যায় অপূরণীয়। তাই আগে থেকেই আমাদের ভেবে নিতে হবে আমার সামর্থ্য কতটুকু এবং সেই অনুযায়ী একটি সুষম পরিকল্পনা করতে হবে। যে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুচিত। এ ব্যাপারে নিচের হাদীসটি থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারিঃ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি মাদুর ছিল, যা দিয়ে রাতের বেলা তিনি হুজরা বানিয়ে নিতেন এবং সেখানে সালাত আদায় করতেন। লোকেরাও তাঁর সালাতের সংগে (মুকতাদী হয়ে) সালাত আদায় করতে লাগল। আর দিনের বেলা তিনি সেটা বিছিয়ে দিতেন। এক রাতে তারা উদগ্রীবতার সাথে সালাতের জন্য ফিরে এলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেন, “লোক সকল, তোমরা এমন আমল গ্রহণ করবে যদ্দুর করার তোমরা সামর্থ রাখ। কেননা, আল্লাহ নিশ্চয়ই (সাওয়াব দানে) ক্লান্তিবোধ করবেন না; অথচ অবশেষে তোমরাই (আমল করতে করতে) ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পড়বে। আর আল্লাহর নিকট সমধিক প্রিয় আমল হল যা নিয়মিত পালিত হয়- যদিও তা কম হয়। ” আর (বর্ণনাকারী বলেন) মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পরিবার পরিজন কোন আমল শুরু করলে তাকে তারা স্থায়ি রুপ দিয়ে দিত। [সহীহ মুসলিমঃ ১৭০০]
৩। সামান্য ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়াঃ আমাদের রামাদানের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো পরিকল্পনা পূরণে সামান্য ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়া। আমরা আমাদের বিগত রামাদানগুলোর দিকে একটু গভীর দৃষ্টিপাত করলেই দেখতে পাবো, আমাদের অনেকেই হয়তো খুব আগ্রহের সাথে রামাদানের প্রথম কিছুদিন তারাউইহ্ আদায় করলেও, বিশেষ কারণে যদি দু একদিন আদায় করতে না পারি তবে হতাশ হয়ে পড়েছি। যার ফলে তারাউইহ্র মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত চালিয়ে যাওয়া হয়নি হয়তো আমাদের অনেকেরই। তাই পুরো রামাদানজুড়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে লক্ষ্য পূরণে সামান্য ব্যর্থতায় আমরা হতাশ হয়ে না পড়ি।
রামাদানে করণীয়ঃ
১। সালাতে নিয়মিত হওয়াঃ আমরা যারা সালাতে অনিয়মিত তাদের সবারই প্রথম লক্ষ্য থাকা উচিত এই রামাদান থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে নিয়মিত হওয়া। কারণ সালাত হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতগুলোর একটি। আমি মনে করি এর গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য নিচের হাদিসটিই আমাদের জন্য যথেষ্টঃ
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়াহ আততামীমী এবং উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা। [সহীহ মুসলিমঃ ১৪৯]
২। কুর’আনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করাঃ জন্মগতভাবে মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আমাদের অনেকেরই আজ কুর’আনের সাথে নেই সামান্যতম সম্পর্ক। ফলে আমরা অনুধাবন করতে পারি না ইসলামের গুরুত্ব ও মাহাত্ম, জানতে পারি না আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দেয়া রহমত ও রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে। তাছাড়া আজকের এই অধপতিত মুসলিম জাতির অধপতনের অন্যতম একটি কারণ হলো কুর’আন থেকে দূরে সরে যাওয়া। কুর’আন যে কতোটা শক্তিশালী গ্রন্থ তা আমরা দেখতে পাই উন্মুক্ত তরবারী হাতে ধাবমান উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে আজ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করা হাজার হাজার অমুসলিমের কাহিনি থেকে। কেবল কুর’আনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই তারা আশ্রয় নিয়েছে ইসলামের সুশীতল ছায়ায়। কিন্তু আফসোস! প্রত্যেকের বাড়িতে কুর’আনের একটি করে কপি থাকলেও বছরের পর বছর তা খুলে দেখা হয় না আমাদের অনেকেরই। তাই আসুন, নিজের স্রষ্টাকে জানার জন্য, নিজের দ্বীনকে জানার জন্য, নিজের সত্ত্বাকে জানার জন্য এ বছর থেকেই কুর’আনের সাথে আমরা আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি ও দৃঢ় করার চেষ্টা করি। আর এর জন্য রামাদানই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। কারণ এটি হলো কুর’আনের মাস।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন,
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। [সূরা বাক্বারাহঃ ১৮৫]
তাই কুর’আনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আমরা কিছু ব্যক্তিগত কিংবা দলগত কর্মসূচী গ্রহণ করতে পারি। সর্বপ্রথম আমরা যারা কুর’আন তিলাওয়াত করা ভুলে গেছি তারা এখন থেকেই আরবী শেখা শুরু করতে পারি। এজন্য এলাকার মসজিদই সর্বোত্তম পাঠশালা। আর এতে যদি আমরা কিছুটা বিব্রত বোধ করি কিংবা সময় করে উঠতে না পারি তবে অনলাইন রিসোর্সের সাহায্য নিতে পারি। এজন্য ইউটিউবে সার্চ করলেই বাংলা ও ইংরেজিতে আমরা অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ্। দ্বিতীয়ত আমরা যারা কুর’আন তিলাওয়াত করতে পারি তাদের উচিত এর অর্থ অনুধাবনের চেষ্টা করা। এজন্য আমাদের সবারই উচিত কুর’আনের অনুবাদ পড়া, তাফসীর পড়া এবং সর্বোপরি আরবী ভাষা শেখা। এই প্রক্রিয়ার শুরু হিসেবে সবার জন্য আমার পরামর্শ থাকবে সালাতে আমরা কুর’আনের যে অংশগুলো তিলাওয়াত করি অন্তত সেই অংশগুলোর অনুবাদ শেখা ও তাফসীর পড়া, যাতে আমরা সহজেই বুঝতে পারি সালাতে কী পড়ছি, আল্লাহ্র কাছে কী দু’আ করছি। এজন্য ড. আব্দুল আযীয আব্দুল রহীমের ‘Understanding Qur’an and Salah The Easy Way’ লেকচার সিরিজটি খুবই উপকারী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
৩। অন্তত তিনটি নতুন দু’আ মুখস্থ করাঃ মাত্র তিনটি দু’আর কথা পড়ে হয়তো অনেকেরই মনে হতে পারে এ আর এমন কি! কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য কেবল ‘লিপ সার্ভিস’ নয়। অর্থাৎ কেবল তিনটি দু’আ মুখস্থ করার মাঝেই আমরা আমাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখবো না। বরং আমরা প্রতিটি দু’আর শব্দার্থসহ পূর্ণাঙ্গ অর্থ শিখবো এবং কুর’আনে কিংবা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীসে দু’আগুলোর সম্পর্কিত ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। আর তখনই দু’আগুলো আমাদের অন্তরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন।
৪। অন্তত একটি সীরাত পড়াঃ বিশ্বজুড়ে ইসলামবিদ্বেষী কাফির-মুশরিকরা আজ মুসলিমদের উপর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে আমাদের প্রিয় নবী সম্পর্কে কুৎসা রটনা করছে। কিন্তু জবাবে তাদের দু’একটি গালি দেয়া ছাড়া (!) আমরা প্রায় কিছুই করতে পারছি না। কারণ আজ আমাদের জানা নেই প্রিয় নবীর জীবনাচরণ। জানিনা, তিনি কেমন ছিলেন, কেমন করে জীবনের মূহুর্তগুলো অতিক্রান্ত করেছেন। শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন স্তরে অসংখ্য কাফির-মুশরিক কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী শিখলেও, শেখা হয় না প্রিয় নবীর জীবনী। ফলে প্রকাশ্যে তাঁকে নিয়ে মিথ্যাচার করলেও আমাদের পালন করতে নিরব শ্রোতা বা দর্শকের ভূমিকা। কারণ, সত্যটা জানা না থাকায় আমরা সন্দিহান হয়ে পড়ি তাদের মিথ্যাচার সম্পর্কে। তাই নবীর সম্মান রক্ষায়, নিজেদের সম্মান রক্ষায় আমাদের সবারই উচিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে জানা। আর এই প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ হিসেবে আমাদের সবারই উচিত বছরে অন্তত একটি সীরাত পাঠ করা এবং আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা যেন এ রামাদান থেকেই আমাদের তা শুরু করার তৌফিক দান করেন। বাংলা ভাষায় প্রচলিত সীরাতগ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ সীরাত ইবনে হিশাম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), আর-রাহীখূল মাখতুম (আল-কোরআন একাডেমি লন্ডন), বিশ্বনবী (গোলাম মোস্তফা)। আর যাদের পড়ার অভ্যাস নেই তারা দেখতে বা শুনতে পারেন শাইখ ইয়াসীর ক্বাদির ‘Seerah of Prophet Muhammed (PBUH)’ সিরিজটি।
৫। কমপক্ষে একটি বড় বদঅভ্যাস ত্যাগ করাঃ আমাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো বদ অভ্যাস রয়েছে। যেহেতু রামাদান হচ্ছে সংযমের মাস এবং আমাদের চারপাশের ফিতনাময় পরিবেশে সামান্য হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়, তাই আমাদের উচিত নিজেদের মধ্যেকার বদ অভ্যাসগুলো দূর করার জন্য এ সময়টাকে কাজে লাগানো। এজন্য প্রথমেই আমাদেরকে নিজেদের বদ অভ্যাসগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তারপর আল্লাহ্র উপর তাওয়াক্কুল হয়ে সেই বদ অভ্যাসটি দূর করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে। আর এতে যদি আমরা আন্তরিক হই তবে সফলতা অর্জন করবোই ইনশা আল্লাহ্।
আমরা যারা একটু আধটু অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করি তাদের হয়তো অনেকগুলো রামাদান পরিকল্পনা ও কৌশল পড়া হয়ে গেছে। কিন্তু পড়া কেবল তখনই সার্থক ও কার্যকর হবে যখন আমরা তা আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করবো। তাই রামাদান সম্পর্কিত বিভিন্ন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা কেবল পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আমরা সবাই চেষ্টা করবো এই রামাদান থেকেই সেগুলো বাস্তবে রূপদান করতে। সবশেষে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে এই দু’আ করছি যেন তিনি আমাদের সকলের হায়াত রামাদান পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। জাযাক আল্লাহ্ খাইরান।