আমাদের মধ্যে যারা আরবীতে কুরআন পড়তে পারি না, তারা অনেকেই বাংলা উচ্চারনে কুরআন পড়তে চাই। এটা সাময়িক সমাধান হতে পারে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো এটাকেই আমরা পার্মানেন্ট সলুয়েশন ধরে নিয়েছি।
আরবী অনেকগুলো অক্ষরেরই উচ্চারন বাংলা অক্ষর দিয়ে লিখে বোঝানো সম্ভব না। আমরা যে দরুদ শরিফ পড়ি, আল্লাহুম্মা সল্লি... এখানে সল্লি শব্দটার শুরু আরবী “সোয়াদ” অক্ষর দিয়ে। কিন্তু “সোয়াদ” এবং আরেক অক্ষর “সিন” দুটোই বাংলা “স” দিয়েই লিখতে হবে। অথচ “সোয়াদ” দিয়ে অর্থ হলো, রাসুলের উপর রহমত বর্ষন করুন। সিন দিয়ে “রাসুলের উপর তলোয়ার চালান”। নাউযুবিল্লাহ।
কী ভয়ংকর, চিন্তা করা যায়!
সুরা ফাতিহার প্রথম শব্দ। আলহামদু....এখানে আরবী বড় হা এবং ছোট হা উভয়টি বাংলায় লিখতে হবে “হ” দিয়ে। অথচ একটার অর্থ, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য”। আরেকটির অর্থ “সমস্ত ধবংস আল্লাহর জন্য।” নাউযুবিল্লাহ।
কিছু টাকা অতিরিক্ত ইনকামের জন্য বয়স হয়ে যাওয়ার পরও নানা ধরনের কোর্স করে থাকি আমরা। চাকরি পরিবার সব সামলিয়েই তো করি। কুরআন শেখার জন্য কি সেই সময়টুকু আমরা বের করতে পারি না?
নিজের অবহেলাকে অনেকে অপারগতা হিসেবে প্রকাশ করে। কিন্তু সেই মহান সত্ত্বা কি অন্তরের সুক্ষাতিসুক্ষ চিন্তাভাবনা সম্পর্কেও অবগত নন?