"সবখানে ধর্মকে টেনে আনবেন না"

এটা আজকাল একটা বাধা বুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে যা দ্বারা কিছু নির্দিষ্ট জায়গা ব্যতীত ধর্মের অনুপ্রবেশকে অপ্রাসঙ্গিক বোঝানো হয়।

একবার আমি একটা সামাজিক সমস্যার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করায় একজন আমাকে 'ধর্মকে টেনে আনছি কেন' মর্মে থামিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন। এ লোকদের মতে রাজনীতি, সামাজিকতার মত ব্যাপারগুলো থেকে ধর্মকে দূরে রাখাই শ্রেয়।

যারা এ ধারণা পোষণ করেন তারা ইসলাম সম্পর্কে কমপ্লিটলি অজ্ঞ। আর এটাও সত্য যে ধর্মের অনুপ্রবেশকে অপ্রাসঙ্গিক ইন্টারফেয়ার জ্ঞান করে তাদের ভ্রু কুঁচকানোর ইতিহাসও নতুন নয়, অনেক পুরোনো। চৌদ্দশ বছর আগে হযরত সালমান ফারসী (রা) কে কাফিররা ঠাট্টা করে প্রশ্ন করেছিল, "এ কেমন নবী তোমাদের? ইস্তিঞ্জা (টয়লেট) করাও শেখায়?" সালমান ফারসী কী উত্তর দিয়েছিলেন সেটাই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়। তিনি বলেছিলেন—

"এটাই তো আমাদের গর্ব যে, আমরা এমন এক রাসূলের অনুসরণ করি, যিনি আমাদের এত ছোটখাট বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেন।"


ইসলামের বৈশিষ্ট্যই হল, সে জীবনের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার করে। কারণ এই যে, ইসলাম কেবল ধর্ম নয় বরং সম্পূর্ণ জীবনবিধান। মুসলিম হিসেবে এটা আমাদের গর্বের বিষয়, হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসা প্রতিটি মুসলিমের জন্য জরুরি। সালমান ফারসী (রা) এর উত্তরটা লক্ষ করুন। তিনি কাফিরদের প্রশ্নের জবাবে ইসলামের এই বৈশিষ্ট্যটা নিয়ে গর্ব করেছেন। ব্যাপারটা এই যে, আমরা সবকিছুতে ধর্ম টেনে আনি কেননা সবকিছুতেই আমাদের ধর্ম টেনে আনা যায়। অন্য কোন ধর্ম, আদর্শ বা তন্ত্রের (সিস্টেম) পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু জীবনের কোন একটা দিকও ইসলামের বহির্ভূত হতে পারে না বিধায় সব কিছুতে সে ইন্টারফেয়ার করতে পারে। এ ক্ষমতা তাকে তাকে অন্যান্য দ্বীন থেকে পৃথক করেছে, শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে।

ইন্টারফেয়ার কেন:

এখন প্রশ্ন হতে পারে, ইসলাম কেন সবকিছুর মধ্যে ইন্টারফেয়ার করবে? অন্যান্য ধর্মের মত এটি কিছু উপাসনা-আচার অনুষ্ঠানে কেন সীমাবদ্ধ থাকল না?

সেক্ষেত্রে প্রথমে বুঝতে হবে, আল্লাহ্ কেন মানুষ সৃষ্টি করলেন? তাঁর এই কাজের উদ্দেশ্য কী? আমরা সকলেই তার উত্তর জানি। সূরা যারিয়াতের ৫৬ নং আয়াতটা আমাদের সবার কাছেই পরিচিত:

"আমি জ্বিন ও মানবজাতিকে আমার ইবাদাত ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি"

আয়াতটা ভালোমত লক্ষ্য করুন। "অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।" এখন নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখুন। আমাদের দিন কাটে কীভাবে? খাওয়া-ঘুমসহ জৈবিক ব্যাপারগুলো তো আছেই, বাকিটা সময় যেটা কাজের, সেখানে ছাত্ররা হয়তো পড়াশোনা, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা, রাজনীতিবিদেরা রাজনীতি, গবেষকেরা গবেষণায় ব্যস্ত থাকে। তাহলে আমরা দিনের বেশিরভাগ কাজই এমন করি যা আল্লাহর ইবাদাত নয়। অথচ আল্লাহ্ বলেছেন তাঁর ইবাদাত ব্যতীত অন্য কোন কাজের মানুষের সৃষ্টি হয় নি। তারমানে পড়াশোনা, খেলাধুলা, খাওয়া-ঘুম, রাজনীতি, ব্যবসা, চাকরি সবকিছুর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যের বাইরে, তাই নয় কি?

কিন্তু এই কাজগুলো ছাড়া কি মানুষের লাইফ লিড করা সম্ভব? ধরলাম একজন মানুষ সিদ্ধান্ত নিল যেহেতু আল্লাহ্ কেবল এবং কেবলমাত্র তাঁর ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন কাজেই সে মসজিদে গিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা সিজদাহ এ পড়ে থাকবে। কিছু খাবেও না, যেহেতু খাওয়াটা ইবাদাত নয়। ঘুমাবেও না, কারণ ঘুমটা ইবাদাত নয়, অতএব সৃষ্টির উদ্দেশ্যের বাইরে।

এখন এই লোকটির কী হবে? সে কি বাঁচবে? সহজ উত্তর, বাঁচবে না। তারমানে আল্লাহর ইবাদাত ছাড়াও বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অনেকরকম কাজের দরকার হয়। তা না হলে তো মানুষের দরকারই ছিল না। ফেরেশতাই যথেষ্ঠ ছিল, তাঁরা সারাক্ষণ, প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহর ইবাদাত করতে পারেন, কেননা তাঁদের খাওয়া-ঘুম বা অন্যান্য চাহিদা নেই।

কাজেই মানুষের বহুমুখী কাজ করতে হয়, আর এখানেই মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য নিহিত। আর সেখানেই ইসলামের অনন্য বৈশিষ্ট্যও নিহিত। সেটা এই যে, মানুষ তারা দৈনন্দিন সব কাজই করবে, শুধু আল্লাহর দেখিয়ে দেওয়া উপায়ে করবে, তাহলে সেটাই আল্লাহর ইবাদাত হবে, যার জন্য মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

আর সেজন্যই, আপনার প্রত্যেকটি কাজ, প্রত্যেকটি মুহূর্ত কীভাবে অতিবাহিত হবে, তার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ইসলাম দিয়ে দিয়েছে। আপনি কীভাবে ঘুমোতে যাবেন, সেটা ইসলাম বলে দিয়েছে। কীভাবে ঘুম থেকে উঠবেন, সেটাও বলে দেওয়া আছে। এরপর কীভাবে হাতমুখ ধোবেন, পোশাক পরবেন, বাইরে বেরোবেন, প্রতিটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। এরপর মানুষের সাথে কীভাবে কথা বলবেন, কীভাবে সার্ভিস লিড করবেন—সবই পাবেন ইসলামের মধ্যে। কীভাবে আপনি চাকরি করবেন, কীভাবে ব্যবসা করবেন, কীভাবে রাজনীতি করবেন, কীভাবে অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পররাষ্ট্রনীতি গৃহীত হবে, কীভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ পরিচালিত হবে—প্রতিটা বিষয়, কমপ্লিটলি প্রত্যেকটা বিষয় বিস্তারিতভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ইসলাম বলে দিয়েছে। মানবজীবনের একটা মুহূর্তও তাই ইসলামের আওতাহীন হওয়া সম্ভব না।

আমরা যখন মেনে নিয়েছি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" অর্থাৎ আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তখন আমাদের প্রত্যেকটা কাজ, চিন্তা, আদর্শ—সব কেবল এবং কেবলমাত্র আল্লাহরই দেখানো পথে পরিচালিত হতে হবে, আর সেটার নামই তাওহীদ। আমি যখনই আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো দেখানো পথকে প্রাধান্য দেব, সাথে সাথে আমি আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার দাসত্ব শুরু করলাম। যা আস্তে আস্তে আমাকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করে দেবে।

আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ্ আমাদের রব্ব, মালিক, পালনকর্তা এবং মহাবিশ্বের প্রতিটি বিষয়ের নিয়ন্তা। তিনি স্বাধীন, কারো কাজে দায়বদ্ধ নন এবং সবকিছু তাঁরই নিয়ন্ত্রণে।

প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য, প্রতিটা মুহূর্তের অস্তিত্বের জন্য আমরা তাঁরই মুখাপেক্ষী এবং তাঁরই কাছে দায়বদ্ধ। কাজেই প্রতিটা মুহূর্তের হক্ব হল সেই আল্লাহর *দাসত্ব* করা। আর তা এই প্রকারে যে প্রতিটা কাজেই আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের মাধ্যমে। খাওয়া ঘুম থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি—সর্বক্ষেত্রে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে। আর সেটা মেনে চলার নামই ইসলাম (Complete Surrender to Allah).

আর তাই জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামের ইন্টারফেয়ার আমাকে মেনে নিতে হবে, অন্তরে, কথা আর কাজে।

বিজয়ের মূলে:

আমরা জানি মুসলিমরা প্রায় আটশ বছর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধিপত্যশীল জাতি ছিল। কোন জিনিসটা মুসলিমদের এই দীর্ঘ সময় আধিপত্য করতে সাহায্য করেছে??

সেটা হল ইসলামের এই ইন্টারফেয়ারিং ক্যারেকটারিস্‌টিক্‌স। ইসলামে জীবনের সর্বক্ষেত্রের নির্দেশনা পাওয়া যায় বিধায় তাদের রাজনীতি বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের মত ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে এগুতে হয় নি। যেমন আজ ফিউডালিজম (Feudalism) তো কাল স্যোশালিজম (socialism) পরশু কম্যুনিজম (Communism) ত এরপরদিন গণতন্ত্র (Democracy) এইভাবে জনগণকে গিনিপিগ বানিয়ে একের পর এক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে নেবার অবকাশ ইসলামে নেই।

যেহেতু জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেয়েছে তাই মুসলিমদের কাজ ছিল শুধু আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইনকে প্রতিষ্ঠা করা। আর এই মানসিকতা তাদের এনে দিয়েছিল দুনিয়াজোড়া সাফল্য।

ষড়যন্ত্র:

যেখানেই হক্ব থাকবে, সেখানেই তার বিরুদ্ধে বাতিল দাঁড়িয়ে যাবে। ইসলামের এ বিজয়কেতন কাফিররা সহ্য করতে পারল না। তারা দেখল মুসলিমদের বিজয়ের মূলে আছে সর্বক্ষেত্রে ইসলামের ইন্টারফেয়ার। এর কারণে কোনক্ষেত্রেই মুসলিমরা অন্য জাতির থেকে আদর্শ ধার নেবার প্রয়োজন বোধ করেনা। তাই মুসলিমদের ওপর ভিন্ন কালচার বা লাইফস্টাইলের লোকেরা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না।

কাজেই মুসলিমদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে গেলে সবার আগে যেটা দরকার সেটা হল মুসলিমদের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে ধারণার পরিবর্তন। তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে যে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা নয়, ইসলামের অনেক বিধান বর্তমান যুগের জন্য প্রযোজ্য নয়। কাজেই রাজনীতির মত বিষয়গুলোতে পশ্চিমাদের আদর্শ অনুসরণ করাই শ্রেয়। এভাবেই আস্তে আস্তে মুসলিমদের মানসিকতা আর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের ওপর জয়ী হতে হবে।

সেজন্য তারা একে একে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করল। আমি পর্যায়ক্রমে তার কিছু সংক্ষেপে আলোকপাত করছি।

উপলব্ধিগত ভুল:

বিশ্বের জ্ঞানের আলোর কেন্দ্র ছিল মুসলিম ভূমিগুলো। বিজ্ঞান-দর্শনসহ জ্ঞানের প্রায় সর্বস্তরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিল মুসলিমেরা। সেসময় আমাদের সাহিত্য যে উচ্চতায় উঠেছিল তাতে ওঠার কথা আজকের ইউরোপিয়ানরাও ভাবতে পারে না। অথচ এই সাহিত্য বা মুসলিমদের কীর্তি সম্পর্কে আমরা কতটুকু ওয়াকিবহাল? শেক্সপিয়র, মার্ক টোয়েন বা ড্যান ব্রাউনের শতাধিক উপন্যাস আমাদের অনেকেরই পড়া, কিন্তু মুসলিম সাহিত্যিকদের কয়টি লেখা পড়া হয়েছে?? হয় নি। কারণ আমরা জানিই না যে আরবী বা ফারসী সাহিত্য ইংরেজির চেয়ে কোন অংশেই কম সমৃদ্ধ নয়, বরং অনেক অংশে বেশি।

১২৬০ সালে মঙ্গোলিয়া থেকে তাতাররা ইরাক আক্রমণ করে আব্বাসীয় সুলতানকে হত্যা করে এবং পরের ৪০ দিনে প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে। তারা তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম লাইব্রেরী বাগদাদের লাইব্রেরী পুড়িয়ে দেয় এবং গণহত্যা চালায় একাধারে। বলা হয়ে থাকে ফোরাত নদীর তীর সেদিন দুই রঙে রঞ্জিত হয়েছিল, রক্তের লাল রং এবং কালির কালো।

এই সামান্য তথ্যটি আমাদের জানিয়ে দেয়, মুসলিম সাহিত্য কতটা সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু কলোনাইজেশনের যুগে এসে বৃটিশরা আমাদের ক্ষমতা দখল করে আমাদের শেখালো মুসলিম দর্শন বা সাহিত্যের কোন স্বাতন্ত্র নেই, উন্নত হতে হলে ইউরোপীয়দের, বিশেষত ইংরেজদের অনুসরণ করতে হবে। যেহেতু হিন্দুদের আত্মমর্যাদাবোধের অভাব ছিল তাই তাদের অনেকেই অন্ধ আনুগত্য মেনে নিল বৃটিশদের। আর বৃটিশরা তাদের বড় বড় পদে আসীন করল। মুসলিমদের যারা তাদের গোলামি করতে রাজি হয়েছে তাদের গ্রহণ করল, বাকিদের হত্যা করল।

তারা হক্বপন্থী 'আলিমদের হত্যা করল, আলিয়া মাদ্রাসা প্রবর্তন করল, সেখানে নিজেদের পছন্দসই সিলেবাস প্রবর্তন করল এবং নিজেদের অনুগত কিছু সুবিধাভোগী মুসলিমদের নিয়োগ দিল। আলিয়া মাদ্রাসার কাজ হবে পশ্চিমা ভাবধারার ইসলামের প্রচার, যেখানে জিহাদসহ বেশকিছু ইসলামিক টার্মের অর্থ বদলে দেওয়া হবে। এভাবে মানুষকে ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে রাখা গেল, ফলে একটি আনুগত্যশীল মুসলিম প্রজন্ম গড়ে তোলা গেল।

তারা যে গোলামির বীজ বপন করে দিয়েছিল তার রেশ আমরা আজও দেখতে পাই। আজও আমরা বৃটিশদের শিখিয়ে দেওয়া গণতন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তি খুঁজি। অথচ বৃটিশরা নিজেরা সামরিক শক্তি দিয়ে দেশ দখল করত, গণতন্ত্র দিয়ে নয়। তারা আমাদের দেশীয় সম্পদ লুট করল, সেগুলো এখন আমরাই টিকেট কেটে তাদের মিউজিয়ামে গিয়ে দেখি আর "বৃটিশরা কত উন্নত!!" বলে মাথা ঝাঁকাই। তাদের পোশাক পরে ভাবি জাতে উঠে গেছি। এটাই হল গোলামির স্বরূপ।

বিশ্বের পটভূমি পরিবর্তন হল। বৃটিশদের বদলে প্রভুর স্থানে এখন আমেরিকা। তারাও একই নীতি অবলম্বন করল। মুসলিমদের ইসলামের বেসিক প্রিন্সিপাল থেকে দূরে রাখতে হবে, তারা ইসলামকে বুঝবে, জগতকে বুঝবে আমেরিকার চোখ দিয়ে।

মোটকথা তারা বুঝেছিল মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সর্বক্ষেত্রে ইসলামের এই ইন্টারফেয়ার রুখে দিতে হবে। কিছু নির্দিষ্ট উপাসনা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশগুলোকে মুসলিমদের কাছেই অজনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ শুরু করল।